আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর ৫টি উপকারিতা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর কারণে আমাদের জীবন-যাত্রার মান যেমন সহজ হচ্ছে তেমনি আমাদের জীবনের অনেক কাজই জটিল হয়ে যাচ্ছে। আজকে আমি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা আলোচনা করার চেষ্টা করবো।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বর্তমানে আমাদের অনক সুবিধা নিয়ে আসছে। আজকের এই প্রতিবেদননের মাধ্যমে আমি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা বা উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি ?
অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন এইটা একটা। এক কথায় যদি বলি তবে যন্ত্রের উপর নির্ভরশীলতাকেই মূলত বলা হয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
যেমন ধরুন আপনি আপনার কম্পানির সারা বছরের ডাটাকে এনালাইসিস করবেন।
এটা যদি আপনি মানুষের মাধ্যমে বা ব্যক্তির মাধ্যমে করাতে চান তাহলে অনেকটা সময় লাগবে এবং নির্ভল হওয়ার সম্ভবনা অনেকটাই কম হবে।
আর এই কাজটাই যদি আপনি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর মাধ্যমে করান তাহলে অনেক সহজেই এবং কম সময় ও কম খরচে করতে পারবেন।
আরো পড়ুন >> আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই কীভাবে বদলে দিচ্ছে জীবন ?
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি কাজ করতে পারে ?
বর্তমান পৃথিবীর বলা যায় ৩০% থেকে ৭০% কাজগুলোই এই প্রযুক্তির মাধ্যমে করা যায়। আর আগামীতে একটা সতর্কবার্তা দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা যেটা আমাদের মত দেশের জন্য অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ।
সেটা হলো এই প্রযুক্তির রিভ্যালুশান যদি আগামীতে বর্তমানের মতই চলতে থাকে তাহলে শুধুমাত্র উন্নত দেশ আমেরিকার বেকারত্ব বেড়ে যাবে প্রায় ৪৭% যা পুরো জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক।
এই প্রযুক্তি যা করতে পারে তার একটা সংক্ষিপ্ত লিস্ট নিচে দেওয়া হলো।
(ক) মানুষের মত করেই শিখতে পারে।
(খ) যে কোন দেশের ভাষা বোঝার মত ক্ষমতা রাখে।
(গ) যে কোন সমস্যার সমাধান করার মত যোগ্যতা রাখে।
(ঘ) উপলদ্ধি করতে পারে।
(ঙ) যুক্তি প্রদান করে কাজের সমাধান নিয়ে আসতে পারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমরা অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবহার করে থাকি তবে বিশেষ ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে আমরা যেগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করি সেগুলো হলো-
যেসব ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়
১. ভিডিও গেইমস
২. ডেটা সেন্টার মেনেজমেন্ট
৩. ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে
৪. ডিজাইনের ক্ষেত্রে
৫. সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে
৬. স্মার্ট গাড়িতে
উপরের এই কয়েকটি ব্যবহৃত মাধ্যমে আমরা বেশি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে থাকি। তো এখন জেনে নেওয়া যাক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কয়েকটি উপকারিতা সম্পের্কে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ৫টি উপকারিতা
১. দ্রুততার সাথে কাজ করা যায়
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি উপকারিতা হলো যেকোনো কাজ খুব দ্রুততার সাথে সম্পূর্ণ করা যায়। ধরুন আপনি একটি ডিজাইন করছেন, সেখানে যদি আপনি এটি ব্যবহার করেন তাহলে সেই কাজটি আপনার অনেক দ্রুত পরিপূর্ণ হয়ে যাবে।
এছাড়াও দ্রুততার সাথে কাজ করার পাশাপাশি দ্রুত যে কোনো সিদ্ধান্ত খুব দ্রুত নিতে সাহায্য করে।
২. এক টানা কাজ করা যায়
সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা কাজ করার পর বিরতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যন্ত্রের সাহায্যে কোনো প্রকার বিরতি ছাড়ায় কাজ করা সম্ভব হয়।
এই যন্ত্রটি এক টানা কাজ করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও এর কাজের মধ্যে কোনো ভুল হওয়ার সম্ভবনা থাকে না।
৩. বেশি ডেটা সঞ্চায় করা যায়
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যন্ত্রটি মানুষের মস্তিস্কের চেয়ে অনেক বেশি ডেটা সঞ্চায় করতে পারে কোনো প্রকার সমস্যা ছাড়ায়। এছাড়াও এই যন্ত্রটি যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়।
আরো পড়ুন >> ওয়েবসাইটে নিয়মিত পোস্ট করার ৫টি সুবিধা জেনে নিন
৪. ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা যায়
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নতম একটি সুবিধা হলো এই যন্ত্রটিকে মানুষের বিপরীতে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা যায়।
এছাড়াও রোবোটিকস পোষা প্রাণি, হাতশায় আক্রান্ত রুগীদের সহাওয়তা করতে এই যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয়। আশা করি এই বিষয়টি সকলেই বুঝতে পেরেছেন।
আরো পড়ুন >> ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যে বিটকয়েন কেন এত বেশি জনপ্রিয়
৫. ভুল হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের ফলে যে কোনো বিষয়ে ক্রুটি বা ভুল হওয়ার সম্ভবনা কম বা শূন্য থাকে। ফলে খুব সহজেই কাজ করা যায় কোনো সমস্যা দেখা যায় না।
আরো পড়ুন >> আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি এবং কিভাবে কাজ করে ?
উপসংহার
আমরা আসলে নতুন যুগে প্রবেশ করছি আগামীতে। যার প্রভাব এখন থেকেই পড়া শুরু করেছে বলা যায়।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য আপনাকে অসখ্য ধন্যবাদ। এমন নতুন নতুন প্রতিবেদন পেতে হলে আমাদের এই ওয়েবসাইটের সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ